আজ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৭। পরিবার পরিকল্পনা ও জনগণের ক্ষমতায়ন উন্নয়নের আহ্বানের মধ্যদিয়ে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে।
বিশ্বায়নে জনসংখ্যা-চ্যালেঞ্জ ও পরিকল্পিত পরিবারের সুবিধাসমূহের ব্যাপারে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই দিবসটি পালনের লক্ষ্য। সরকার, নীতি নির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি সংস্থা ও এ ব্যাপারে কর্মরত ব্যক্তিদের মনোযোগ ও কর্মপন্থা নিয়ে দিবসটি উদযাপিত হবে।
নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী পরিবার পরিকল্পনার লক্ষ্য নিয়ে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং : এমপাওয়ারিং পিপল, ডেভেলপিং নেশন্স’।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক কিশোরী স্বাস্থ্য ও বাল্য বিবাহ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সাফল্যজনকভাবে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস করায় ২০১০ সালে এমডিজি (মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জন করে। সমতা ও মানবাধিকার এই মূলনীতির আলোকে তৈরি একটি নতুন টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনে কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ যতœ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন এবং দিবসের কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেছেন।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্যকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য জনগণের ক্ষমতায়ন জরুরি। তিনি বলেন, ‘যে কোন দেশের অগ্রগতির পূর্বশর্ত পরিবার পরিকল্পনা। ছোট পরিবার দেশকে সুখী ও সমৃদ্ধশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, অগ্রগামী শিক্ষার মাধ্যমে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, তাঁর সরকার দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও অন্যান্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কিশোরী, শিশু ও নারী স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি এ ব্যাপারে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবায় গৃহীত সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি ও আলোচনা সভা।
দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও প্রাইভেট চ্যানেলগুলো বিশেষ কর্মসূচি সম্প্রচার এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব প্রদান ও জরুরী মনোযোগ আকর্ষনের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।