ব্রাজিলের পক্ষ থেকে ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ পেতে দৃঢ় সমর্থন ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা।
রোববার (৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ব্রিকসে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমন আশ্বাস দেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মাউরো ভিয়েরা বলেন, ব্রিকসে নতুন করে সদস্য পদ বাড়ানোর পর এ বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠক হবে। নীতিগত এবং অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশ আমাদের ঘনিষ্ঠ। আমরা বাংলাদেশের সদস্য পদের বিষয়টি বিবেচনা করব। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে দৃঢ় ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখা হবে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের অর্থনৈতিক জোট ব্রিক এর প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মেলন হয় ২০০৯ সালে। পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকার যোগ দিলে জোটের নাম হয় ব্রিকস। এই জোটের উদ্যোগে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই যাত্রা করে নিউ ডেভলেপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)।
গত বছরের (২০২৩) আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে বিকাশমান পাঁচ অর্থনীতির দেশের জোট ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা আসে। নতুন করে পাঁচটি দেশ এ জোটের সদস্যপদ পেয়েছে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইথিওপিয়া। সব মিলিয়ে ব্রিকস এখন ১০ সদস্যের একটি জোট।
জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের আগে বাংলাদেশ ব্রিকসে যুক্ত হচ্ছে-এমন খবর চাউর হয় দেশের গণমাধ্যমগুলো। কিন্তু সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা এলো না। বরং বন্ধু রাষ্ট্র ভারত, চীন ও রাশিয়া থাকার পরও কেন বাংলাদেশ জোটটির সদস্য পেল না, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন এসেছে।
এদিকে এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যোগ্য নেতৃত্বের জন্যই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রাজিলের অবস্থান জানতে চাইলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, ব্রাজিল সেগুলো সমর্থন করে।
এর আগে, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি সই হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা রোববার (০৭ এপ্রিল) দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।