ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তা হতে হকারদের উচ্ছেদ সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আটটি স্থানকে হলুদ ও সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যেখানে হকাররা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে পারবে, তবে লাল জোনে কেউ দোকান বসাতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ‘পুরোনো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। সভাটির আয়োজন করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। তিনি বলেন, রাজধানীতে যানজট নিরসন ও ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের সনাক্তকরণে ৬৪টি ইন্টারসেকশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আইওটি) প্রযুক্তি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মেয়র তাপস বলেন, ঢাকার অপরিকল্পিত নগারয়নের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী, আমরাই এটা সৃষ্টি করেছি। নগরের অভিভাবক হিসেবে সিটি করপোরেশন নগরের পরিকল্পনা গ্রহণ করবে এবং সেমতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, কোন ধরনের কর বৃদ্ধি ছাড়াই সুশাসন নিশ্চিতকরার মাধ্যমে ২০২৩ সালে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এক হাজার ৩১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছিল। ২০২০ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫১২ কোটি টাকা। নগরের জলব্ধতার বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এবং সম্প্রতি বেশকিছু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে এ সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত কেরাণীগঞ্জে নতুন বাণিজ্যিক নগরী গড়ে তোলা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, সেইসঙ্গে চকবাজার ও মতিঝিলকে পুনরুজ্জীবিতকরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সায়াদাবাদ বাস টার্মিনালকে আধুনিক সুবিধায় রপ্তান্তরিত করা হয়েছে এবং এটার উদ্বোধনের পর আর কেউ টার্মিনালের বাইরে বাস কাউন্টার স্থাপন করতে পারবে না। দোকানের সামনের হকারদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান মেয়র।