অগ্রসর রিপোর্ট
বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনে সরকার রাজধানীতে ১০,০০০ আবাসিক ফ্লাট নির্মাণ করবে। জাতীয় গৃহনির্মাণ কতৃর্পক্ষ মিরপুরের ১১ নং সেকশনে পর্যায়ক্রমে এই ভাড়া ভিত্তিক আবাসিক ফ্লাট নির্মাণ করবে।
এই প্রকল্পের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের পরে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রত্যক্ষ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
গণপূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার বৃহসপতিবার প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে এই প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রেস সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম গৃহহীন এবং নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেকে এ ধরনের আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, পাশাপাশি বর্তমান সরকার ন্যাশনাল হাউজিং পলিসি-২০১৬ বাস্তবায়ন করছে। যার মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য আবাসিক ফ্লাট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা এবং ন্যাশনাল হাউজিং পলিসি-২০১৬’র আলোকেই বস্তিবাসীর জন্য এই আবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, বলেন প্রেস সচিব।
প্রেস সচিব বলেন, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘তালাইমারী চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের খসড়া নকশা’র ওপর এদিন প্রধানমন্ত্রী অপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনও প্রত্যক্ষ করেন।
স্থপতি রফিক আজম এই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ৬১ কাঠা জমির ওপর এই বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ করা হবে। যেখানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী গ্যালারি, ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল লাইব্রেরী,গবেষনাগার, মাল্টি পারপাস হল এবং এম্পিথিয়েটার থাকবে। তিনি বলেন, জাতির পিতার জীবন এবং কর্ম এই প্রকল্পের মধ্যদিয়ে প্রতিভাত হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে-গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।