বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য নির্মিত বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টারমিনালটি শুক্রবার বিকেলে উদ্বোধন করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মেম্বার ফিরোজ শাহ আলম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আ: সামাদ, পুলিশের খুলনা অতিরিক্ত ডিআইজি ইকরামুল হাবিব, যশোর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, বেনাপোল পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, কাস্টমস কমিশনার শওকাত হোসেন, বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পাসপোর্ট যাত্রীদের দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নীচে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্যে ভারত গমনাগমন করতে হতো। এটি উদ্বোধনের ফলে যাত্রী দুর্ভোগ অনেকটা কমে যাবে।
যাত্রীদের দাবির কারনে ১ লাখ তিন হাজার ৬৭৫ বর্গফুটের এই টার্মিনাল ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় সাত কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৮২ টাকা। টার্মিনালের নীচতলা ও দ্বিতীয় তলায় যাত্রীদের বিশ্রামাগার ও ক্যান্টিন থাকছে। সোনালী ব্যাংকের বুথটিও থাকছে এখানে। ভবনে বিভিন্ন দুরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন কাউন্টার থাকেছে এখানে।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ব্যবসা, ভ্রমণ, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন প্রায় ৬-৭ হাজার দেশি-বিদেশি যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করছেন। ভ্রমণকর বাবদ সরকার প্রতি বছর এখান থেকে ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি রাজস্ব আয় করে থাকে।
প্যাসেনজার টারমিনাল ভবনে ঢুকলে যাত্রীদের মাথাপিছু ৩৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে এ আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টারমিনাল।
সন্ধ্যায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বন্দর উপদেস্টা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বেনাপোলে সি এনড এফ এজেন্ট এসাশিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, প্রেস ক্লাব বেনাপোলের সভাপতি মহসিন মিলন, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বারের বন্দর সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান।