মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই সর্বশেষ দফা সহিংসতা শুরুর আগে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি নয় সদস্যের এই আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করেছিলেন। কমিশনে মিয়ানমারের ছয়জন এবং কোফি আনান ছাড়া আরও দুজন বিদেশি প্রতিনিধি আছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, শুক্রবার সিটুয়ে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান রাখাইন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিমানবন্দরের বাইরে এসময় কোফি আনানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন শখানেক বিক্ষোভকারী।
বিক্ষোভকারীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, কোফি আনান কমিশন নিষিদ্ধ করো। তারা আমরা কোফি আনান কমিশন চাই না বলে শ্লোগানও দেয়।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, রাখাইন রাজ্যে যা ঘটছে সেটা আমাদের আভ্যন্তরীন ব্যাপার। এখানে আমরা বিদেশদিরে হস্তক্ষেপ চাই না।
রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লংঘন নিয়ে যে তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনা চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আং সান সুচি এই কমিশন গঠনে বাধ্য হয়েছিলেন।
জাতিসংঘের হিসেবে অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বশেষ অভিযানের মুখে অন্তত দশ হাজার রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশি গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সূত্র:বিবিসি বাংলা।