অগ্রসর রিপোর্ট: কুমিল্লায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের বিরুদ্ধে। এতে ২৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বেলা সোয়া একটার দিকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বেলা ১টার দিকে কুমিল্লার চান্দিনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসিল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ৯ দফা দাবিতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফৌজদারি হয়ে পুলিশ লাইন্সের দিকে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা ধাওয়া দেন। এ সময় অন্তত ৩০টি গুলি করা হয়। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ আরও অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে গুলিবিদ্ধ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতালে পাঁচজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, ‘আমাদের অনেকে আহত হয়েছে শুনেছি। আমরা হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’
বিক্ষুব্ধরা হঠাৎ আমার গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় আমি গাড়িতেই ছিলাম: এসিল্যান্ড
চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৌম্য সরকার জানান, ‘ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় আমি এবং ইউএনও স্যার শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। আমরা গাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আমার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে আমরা গাড়ি থেকে বের হয়ে যাই।’