বাংলাদেশে কম দামে বিক্রির লক্ষ্যে গরুর মাংস প্রক্রিয়াজাত কারখানা করতে চায় ব্রাজিল। জবাবে কোরবানির ঈদের আগে ব্রাজিল থেকে গরু আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ
রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ প্রস্তাব দেন। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী কথা বলেন।
আহসানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যাল সামগ্রী ব্রাজিলে রপ্তানি করা যায়, সেই সঙ্গে বহুমুখীকরণের আওতায় চামড়াজাত পণ্যের প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে গরুর মাংস পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। ব্রাজিল কম দামে গরুর মাংস পাঠাতে পারে বলে আজকের আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সস্তাতেই ব্রাজিল গরুর মাংস দিতে পারে। আমি বলেছি আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে করে জীবিত গরু পাঠাও।
তিনি বলেন, ব্রাজিলের বাংলাদেশে গরুর মাংস প্রক্রিয়াজাত কারখানা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবেব জবাবে আমরা তাদের বলেছি শুধু বাংলাদেশের মার্কেটের জন্য নয় ; এশিয়া বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে মাংস রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে প্রক্রিয়াজাত কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে পারে তারা।
বাংলাদেশে অ্যানিম্যাল প্রোটিন আমদানি সংরক্ষিত, এ প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পোলট্রি ও গরুর মাংস আমদানি করি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা স্টাডি করব, তারপরে দেখা যাবে (ব্রাজিল) কত দামে দিতে পারে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, ব্রাজিলে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ ব্যাপারে তাদের কোনো অসুবিধা নেই, তাদের কিছু লাইসেন্সগত প্রক্রিয়া আছে, ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন আছে- এ বিষয়ে বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। ব্রাজিলের পক্ষে কোনো অসুবিধা নেই।
তিনি বলেন, ব্রাজিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে বাংলাদেশকে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। বাংলাদেশ এই শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। ব্রাজিলও যেহেতু বাংলাদেশের মতোই গ্রোয়িং ইকোনমিক কান্ট্রি, তারাও তাদের স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। দেশটি শুধু বাংলাদেশ এবং চীন থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে। চাহিদার বাকিটা তারা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার করার চেষ্টা করে থাকে।
‘এক্ষেত্রে ব্রাজিল কথা দিয়েছে যে, তারা শুধু সেদেশে নয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি যেন আশ-পাশের দেশগুলোতেও রপ্তানি করা যায়, সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। আমরাও ব্রাজিলকে কেন্দ্র করে এমনভাবে যোগাযোগ করছি, যাতে দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশেও তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারি। ’
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ব্রাজিলের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে একটা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।