পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর জিম্মি নাবিকদের ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা জানান।
স্বস্তির বৃষ্টির পর যানজটে নাকাল ঢাকা, ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি চরমে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে নিরাপদে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা চলছে। তবে সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকেও সতর্কভাবে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, এখন থেকে দুবাই ছাড়াও আরব আমিরাতের অন্য শহরেও জনশক্তি রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ।
হাছান মাহমুদ এ সময় রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ কমছে। এতে সবকিছুর ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা সদস্যদের বিষয়ে এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ২০০ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদেরকে ফেরানোর জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। ৫৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা বহনকারী জাহাজটির ২৩ জন নাবিকই বাংলাদেশি। এরইমধ্যে সোমবার (১৮ মার্চ) জিম্মি দশা থেকে জাহাজটি উদ্ধারে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা যায়। যদিও জাহাজটির মালিকপক্ষ এ ধরনের অভিযানের বিষয়ে কিছু জানে না বলে দাবি করেছেন।