অগ্রসর রিপাের্ট : পাইলট প্রকল্পের পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিকে অনলাইনে শিক্ষক বদলি শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এই তথ্য বলে জানিয়েছেন।
ন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষক বদলি আগামী ১৫-২০ তারিখের মধ্যে শুরু করব। এটা অনলাইনে শুরু করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান জানান, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে শিক্ষক বদলি চালু করব। এটা চালু না করলে আমরা সঠিক সংখ্যায় যেতে পারব না। পাইলটের রেজাল্টও ভালো। পাইল প্রকল্পের ছোটখাট ভুলগুলো আমরা সমাধান করেছি।
বদলি কোন প্রক্রিয়ায় হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা শুধু মহানগরে থাকছে না। প্রথমত আন্তঃউপজেলা, এরপর উপজেলার বাইরে। কারণ অপশন দেওয়া আছে যে, তার স্বামীর কর্মস্থল। নীতিমালা অনুযায়ী সফটওয়্যারে অপশন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু হয় গত ২৭ জুলাই। ওই দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সচিবালয় থেকে পাইলটিং কার্যক্রম হিসেবে গাজীপুরের কালিকৈর উপজেলার বদলি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর ২৯ জুন ওই উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইনে বদলির পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ২৩ জন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনের আবেদন গ্রহণ করে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমরা শুধু প্রাথমিক শিক্ষক নয়, আমরা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনলাইনে বদলি খুব শিগগিরই চালু করছি। কারণ এটা দরকার। অনেকে এক জায়গায় অনেক বছর ধরে আছেন। ফলে সেখানে স্কুল তদারকি, পরিদর্শেনে অনেক রকম…।
বাংলাদেশে ভারতের বড় বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে উদার দেশ উল্লেখ করে অবকাঠামো, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে বিনিয়োগে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের অবকাঠামো, প্রকল্প, শিল্পকারখানা, জ্বালানি এবং পরিবহন খাতে সম্ভাব্য বিনিয়োগ বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করবো। ভারতীয় বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কম সময়ে, সাশ্রয়ী ব্যয় এবং স্বল্পসম্পদে উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয়ের নিশ্চয়তাসহ বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারেন।
দিল্লি সফরের তৃতীয়দিন বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল প্যালেসের বলরুমে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে এ অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা নীতি এবং ধারাবাহিক সংস্কার প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ ও দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।
ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য, মোংলা এবং মিরসরাইয়ে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। আমি আজ এখানে উপস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেখানে বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের সদিচ্ছাকে কাজে লাগানোর পথকে আরও প্রশস্ত করবে এবং এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনবে। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা তাদের পণ্য শুধু ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতেই নয়, নেপাল, ভুটান এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও রপ্তানি করতে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বাংলাদেশের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার এবং এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বল্প খরচ এবং বিশাল ভোক্তা ভিত্তির সুবিধা নেওয়ার সময় এসেছে।