অগ্রসর রিপোর্ট :
মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সব দায় র্যাবের ওপর দিয়ে বাহিনীটির প্রতি অবিচার করা হচ্ছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। র্যাব ভালো কাজ করলেও সেটা সামনে আসছে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের অষ্টম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দিতে ১২টি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ১২টি মানবাধিকার সংস্থা গত নভেম্বরে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যঁ-পিয়েরে ল্যাক্রয়িক্সকে এই চিঠি দেয়। যা বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
জাতিসংঘে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় বলে আসছি, যদি পেছনের দিকে তাকান- র্যাব কখন তৈরি হয়েছিল। যারা র্যাব তৈরি করেছিল, এখন তারাই আবার র্যাবকে অপছন্দ করছে, নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। র্যাব যে ভালো কাজ করছে সেগুলো তারা তুলে ধরছেন না। র্যাব যে মাদকের বিরুদ্ধে, ভেজাল দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে, দস্যুমুক্ত করল, চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে, তারা সবসময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের জন্য কাজ করছে- সেই কথাগুলো তারা কখনো তুলে ধরেন না। তারা নানা ধরনের মানবাধিকারের কথা বলেন।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা তো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি যে, এমন কোনো দেশ নেই যেখানে এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে না। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ যদি অস্ত্র তুলে কথা বলে, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তখন নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে না। তখনই এসব ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুই যদি এলিট ফোর্স র্যাবের ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি এটা তাদের প্রতি অবিচার হচ্ছে।’
আপনি বলছেন, র্যাব ভালো কাজ করছে, যারা র্যাব তৈরি করেছিল তারাই এর বিরোধিতা করছে। তাহলে কি বলা যায় র্যাব পলিটিক্যাল বিরোধিতার মুখে- এ প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আপনারাই বিচার করবেন, আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।’