অগ্রসর রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মাছের খাবারে ভেজাল মিশ্রিতকরণ ও তা বিপণনের দায়ে তিনমাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রেখে খসড়া আইনে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “মৎস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে মান নিশ্চিতকরণ ও ভেজাল বন্ধের লক্ষে তদারকি জোরদারের জন্য মন্ত্রিসভা আজ নীতিগতভাবে খসড়া ‘মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৯’ অনুমোদন করেছে।”
তিনি জানান, প্রস্তাবিত আইনে তিনমাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে, আগে এই সাজা ছিল শুধু তিন মাস। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মৎস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ভেজাল মিশ্রন জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি বিবেচনায় শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, একটি দুষ্টচক্র প্রায়ই ইনজেকশনের মাধ্যমে পানি, স্টার্চ ও জেলি প্রবেশ করিয়ে মাছ রপ্তানি করায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘নতুন আইনের ফলে মৎস্য ও মৎস্যজাত সামগ্রিতে ভেজাল মেশানো বন্ধ এবং মান বজায় রাখতে সহায়ক হবে।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং প্রায় সকল বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের দ্বারা মাতৃভাষার প্রসার সংক্রান্ত বাংলা লেখা সম্বলিত ‘বাংলা ভাষার বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক গ্রন্থের একটি সংস্করণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নকশাকৃত গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। গ্রন্থটির প্রকাশক যাত্রী প্রকাশনী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ি আইনটির খসড়া বাংলায় ভাষান্তর করা হয়েছে এবং আইনটিতে বড়ধরণের কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। এতদিন পর্যন্ত ‘মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩’-এর মাধ্যমে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের মানের বিষয়টি পরিচালিত হতো।