অগ্রসর রিপোর্ট: বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বুধবার (১৬ মার্চ) আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আবুল কালাম মল্লিক জানান, নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, ফেনী ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে, ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া মঙ্গলবার ফেনীতে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ এবং সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই ছিল।
এদিকে বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বুধবার সকাল থেকে ঢাকায় উত্তর-পশ্চিম অথবা পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭১ শতাংশ।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হতে পারে ‘অশনি’। নামটি প্রস্তাব করেছে শ্রীলঙ্কা। এর অর্থ হচ্ছে ‘বাজ বা বজ্র’।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ভারত সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে অবস্থান করছে। এটি ধীরে ধীরে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বদিকে এগিয়ে ১৯ মার্চ সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে গভীর লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর ২০ মার্চ আনন্দাম নিকোবর দ্বীপের কাছাকাছি এসে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর ২১ মার্চ সকালে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি ২২ মার্চ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ২৩ মার্চ এটি আরও উত্তর ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে যেতে পারে।
বর্তমানে লঘুচাপটির কেন্দ্রস্থলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে। এটি বেড়ে ২৩ মার্চ ৮০ কিমি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৭ মার্চ থেকে সাগর উত্তাল হয়ে উঠবে। আর ২৩ মার্চ সেটি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠার আশঙ্কা রয়েছে।