স্টাফ রিপোর্টার: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতার উৎস্য কি এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ আদেশ নির্দেশ বা পরামর্শ মানছে না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এমনকি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ভর্তি পরীক্ষার বিষয়েও তারা নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠানকে আমলে নিচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এই ইউজিসির সুপারিশকেই পাত্তা দিচ্ছে না দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।কিন্তু বড় ও প্রভাবশালী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনীহার কারণে আদৌ এ পদ্ধতি চালু হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্যজনৈক অধ্যাপক বলেন, ‘আমরা মন থেকেই চাই সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির আওতায় আসুক। কিন্তু তারা আসছে না। এটাই দুঃখজনক।’
সূত্র জানায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছ পদ্ধতির আওতায় আনতে প্রায় একযুগ ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে ইউজিসি। ২০১৩ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠক করে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে (এক পরীক্ষার মাধ্যমে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন) নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওই শিক্ষাবর্ষে পুরাতন নিয়মেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পরীক্ষায় মাত্র দুজন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার পর এ ধরনের ভর্তি প্রক্রিয়াকে ‘ক্রুটিপূর্ণ’ মন্তব্য করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে আবার গুচ্ছ পদ্ধতি চালুর ঘোষণা দেয় শিক্ষামন্ত্রী।
তবে বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। এ ছাড়া এইচএসসি ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও অনেকটা এ ধরনের পদ্ধতি চালু হয়েছে সম্প্রতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দৈনিক অগ্রসরকে জানান, ‘আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সব শিক্ষার্থীই পড়তে চায়।মধ্যে আমরা যে তাদের বাছাই করব সে জন্য একটি নিজস্ব পদ্ধতি আছে, আইন আছে। তা মেনে পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের ভর্তি না করলে যথার্থ বাছাই হবে না।’
সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা বাধ্য করতে পারি না। কারণ তাদের অটোনমি আছে। আমরা শুধু সুপারিশ করতে পারি। মন্ত্রণালায়ের মাধ্যমে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হয়।’
