সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : ভারতের শিলিগুড়ির শ্রুতি পাল নামের ১৩ বছরের সেই কিশোরীর অবশেষে রবিবার থেকে ঠাইঁ হচ্ছে সিলেটের বাগবাড়ির সেফ হোমে (নিরাপদ নিবাসে)। তাহিরপুর থানা পুলিশ রবিবার সুনামগঞ্জ অতিরিও জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে শ্রুতিকে হাজির করলে আদালত বেলঅ আড়াইটার দিকে তার বক্তব্য শোনার পর পরই তাকে নারী পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রবিবারই সেফ হোমে পাঠানার আদেশ প্রদান করেন।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতের শিলিগুড়ির প্রয়াত গণেশ পাল ও দূর্গা রাণী পাল দম্পতির কিশোরী কন্যা সীমান্ত অতিক্রম করে শুক্রবার উপজেলার বড়দল কাউকান্দি বাজারে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের আশেপাশে ঘোরাফেরা করলে বাজারবাসী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য’র বাড়িতে রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা করে দেন।
পরদিন শনিবার উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আবুল হোসেন খাঁনের নিকট নিয়ে গেলে ভাষাগত কারনে শ্রুতি নিজের সঠিক পরিচয় অকেটাই চেঁপে যায়। খবর পেয়ে শনিবার রাতে থানা পুলিশ শ্রুতিকে তাদের হেফাজতে নেয়।
অপরদিকে, শ্রুতিকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদেও সে তার কোন পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় এমনকি তার আর কোন ভাই-বোন নেই বলেও জানায়। শ্রুতি কখনো কাঁটা তারের বেড়ার নীচ দিয়ে আবার কথানো বাসযোগে শিলিগুড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী মেঘালয় পাহাড়ের ওপারের সীমান্ত অতিক্রম করে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানায়।
ধারণা করা হচ্ছে পারিবারীক রোষানল অথবা কোথাও কিশোরী হিসাবে কাজে থাকায় সেখানে কোন ধরণের অদৃশ্য চাঁপ কিংবা অন্য কোন কারনে ওই কিশোরী ভারতের শিলিগুড়ি থেকে দিন কয়েক পূর্বে মেঘালয় ষ্টেইটের শিলং হয়ে সুনামগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ঘোমাঘাট অথবা বড়ছড়া এসে পৌছার পর সীমান্ত অতিক্রম করে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, শ্রুতির ব্যাপারে রাতে থানায় সাধারন ডায়েরী করে রবিবার আদালতে হাজির করা হলে ওই অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল আমিন ওই কিশোরীকে রবিবারই নারী পুলিশী নিরাপওার মধ্য দিয়ে সিলেটের বাগবাড়িস্থ সেফ হোমে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।