আবেদনে বলা হয়েছে, কামরুল ইসলাম সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। আপিল বিভাগ কর্তৃক তলবের অনেক আগে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়াতে বিশ্বখাদ্য সংস্থার একটি সম্মেলেন যোগ দেয়ার জন্য সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ঐ সম্মেলনে যোগদান শেষে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে ১৬ মার্চ দেশে ফিরবেন। এরপর আদালত যেদিন তাকে হাজির হতে বলবেন আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি হাজির হবেন।
জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিল বিভাগ বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গত ৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে তলব করে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহমুদ বলেন, এরই মধ্যে কারণ দর্শনো তৈরি করেছি। তা আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সেখানে আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থণার জন্য আবেদন করেছি।
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, তিনি সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধশীল এবং আদালতের ভাবমূর্তি, মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠদ্ব কোনোভাবেই যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সে বিষয়ে তিনি সচেষ্ট রয়েছেন। ভবিষ্যতে আদালতের মর্যাদা যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকেও সচেষ্ট থাকবেন তিনি।