অগ্রসর রিপোর্ট: সাধারণত বিশ্ব আসরের কথা মাথায় রেখে আয়োজন করা হয় এশিয়া কাপ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ফরম্যাটে, আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজন করা হয় জমজমাট এই টুর্নামেন্ট। সেভাবেই চূড়ান্ত করা হয়েছে সামনের দুই আসর। ভারতের পাশাপাশি আয়োজনের দায়িত্ব পেল বাংলাদেশ।
প্রায় ১১ বছর আগে এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। সেসময় টানা তিনবার এশিয়া কাপের আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর অনেকটা সময় কেটে গেলেও আর দায়িত্ব পায়নি বিসিবি। এবার ২০২৭ এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল বিসিবি।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ এশিয়া কাপের আসর বসবে ভারতে। এটি হবে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে। কারণ ২০২৬ সালে রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিসি। আর ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশে আয়োজিত এশিয়া কাপ আসরটি হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। এশিয়া কাপের পরই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় বসবে বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর।
এই দুই আসরেই অংশ নেবে ছয়টি করে দল। এশিয়ার টেস্ট খেলুড়ে পাঁচ দেশ অংশ নেবে সরাসরি। বাকি দলটি আসবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে। ছয়টি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে প্রতিটি দল খেলবে দুটি করে ম্যাচ। এরপর দুই গ্রুপের সেরা দুই দল নিয়ে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে সুপার ফোর। সুপার ফোরের সেরা দুই দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
উল্লেখ্য, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের দুটি আসরে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এবারও সেই সুযোগ লুফে নিতে মরিয়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।