অগ্রসর রিপোর্ট: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে মসজিদ, মন্দির ও গীর্জাসহ সব ধর্মীয় স্থানে শহিদদের স্মরণে প্রার্থনা, গায়েবানা জানাজা ও শোকমিছিল কর্মসূচি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানান আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিরীহ ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার দলীয় ক্যাডারা নগ্নভাবে হামলা করে। কেবল শতশত মানুষকে শহিদ করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি; উপরন্তু নির্যাতিত ছাত্রসমাজের উপরই ফের গণগ্রেপ্তার চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসকল সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের উপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে, তারাই এখন নির্যাতিত ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। পুলিশ বাদী হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হাজার হাজার মামলা দায়ের করছে। যাকে যেখানে পাচ্ছে তাকেই গ্রেপ্তার করছে।’
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। শিক্ষার্থীরা শতশত শহিদের রক্তের উপযুক্ত প্রতিশোধ না নিয়ে ঘরে ফিরবে না। প্রধানমন্ত্রীর জাতির সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা, দেশব্যাপী হত্যাযজ্ঞে দায়ী মন্ত্রীদের পদত্যাগসহ নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলনকে অব্যাহত রাখবো। ইতোমধ্যে আমাদের শতশত ভাই শহিদ হয়েছেন। সুতরাং তাদের রক্তের সাথে বেঈমানি করে পিছনে হটার কোনো সুযোগ নেই।’
‘এমতাবস্থায় আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে দেশব্যাপী সব শহিদের স্মরণে আগামীকাল (শুক্রবার) ২৬ জুলাই সারাদেশে মসজিদ, মন্দির ও গীর্জা সহ সকল ধর্মীয় স্থানে প্রার্থনা, বাদ জুমা দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজা এবং শহীদদের স্মরণে শোকমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। গ্রাম, হাট-বাজার, উপজেলা শহর জেলা শহর সহ সকল স্থানের প্রত্যেক মসজিদ থেকে গায়েবানা জানাজা শেষে শোকমিছিল বের করুন।‘ বলেন তারা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রত্যেক শহিদের নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদদের স্মরণে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করুন। নিষ্ঠাবান শিক্ষকবৃন্দের প্রতি আহ্বান, ছাত্রদের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরিতে সহযোগিতা করুন। জুমার নামাজ শেষে মসজিদে দেশপ্রেমিক শহিদদের জন্য দোয়া করুন এবং মন্দির-গীর্জায় স্বীয় রীতিতে প্রার্থনার আয়োজন করুন।‘