ভারতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
বুধবার (২৭ মার্চ) ভারতে কূটনীতিক তলবের জবাবে, কেজরিওয়ালের আটক এবং কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব বন্ধের সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে কথা বলেন ম্যাথিউ মিলার। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বক্তব্যের সারমর্ম ছিলো, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?’
জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে বলছি, সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে; সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো কিছু আমার হাতে এখন নেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের বাইরে আমরা যেটা স্পষ্ট করে বলেছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় অব্যাহতভাবে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিলো অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গণতান্ত্রিক শাসন জোরদার এবং মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করে স্বাধীনতা দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করেন স্টেট ডির্পাটমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।