যুগশ্রেষ্ঠ অলি হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর (রহ.) ৪০তম বার্ষিক ওরস আগামী ২৫ মার্চ সোমবার। ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর আস্তানা-এ-ঈছাপুরী দরবার শরিফে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাব গাম্ভীর্যের সঙ্গে ওরস আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি।
ওরসে এবার প্রথমবারের মতো উপস্থিত থাকবেন বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) বংশধর ও বাগদাদ শরিফ দরবারের সাজ্জাদানশীন মাওলানা শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি আল বাগদাদী।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি জানান, বার্ষিক ওরস উপলক্ষে ওইদিন নানা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-পবিত্র খতমে কোরান, খতমে খাজেগান ও আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও জিকির আজকার শেষে বাদ এশা আখেরি মোনাজাত।
সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মাত্র ১০০ টাকার চাকরিজীবী থেকে দেশের একজন শিল্পপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি।
এসব সম্ভব হয়েছে পীর হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর (রহ.) অকৃত্রিম দয়ায়।
হযরত ঈছাপুরীর(রহ.) এর নানা আধ্যাত্মিক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী হলেন আধ্যাত্মিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, যুগশ্রেষ্ঠ মহান সাধক ও জ্ঞানতাপস।
বাবা ইছাপুরী কামেল নয়, মোকাম্মেল অলি ছিলেন; তার সোহবতে এসে অনেকেই অলি হয়েছেন। মহান এই জ্ঞানতাপস আধ্যাত্মিক সাধনার পাশাপাশি মসনবি শরিফের অনুবাদ করেছেন। ১০৪টি কিতাব রচনা করেছেন, ১০৪ টি মোনাজেরায় অংশ নেন। ৩৬ বছর তিনি ঘর থেকে বের না হয়ে সাধনায় মগ্ন ছিলেন।
আল্লাহ ওলিদের সোহবতে গেলে জীবন পাল্টে যায় মন্তব্য করে তিনি আল্লাহর মকবুল অলিদের খেদমত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি আল্লাহর অলিদের সঙ্গে বেয়াদবি বা সমালোচনা না করার অনুরোধ করেন।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা তিনি বলেন, অলিদের খেদমত করতে শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী সুফি সাহেবকে রেখে গেছেন। তার মাধ্যমে ইসলাম, মাজহাব ও তরিকতের খেদমত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের প্রেসিডেন্ট মাওলানা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার, জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ আবুল তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
এ সময় শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর আওলাদ শাহজাদা সৈয়দ সফিউল আজম, সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, সৈয়দ আমানুল্লাহ আহসান, সৈয়দ এহসানুল করিম, সৈয়দ ফয়জুল আজিম ও সৈয়দ মশিউর রহমান, মাওলানা নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন ড. মাওলানা জাফর উল্লাহ ও কছিদা পাঠ করেন ঈছাপুর দরবারের শাহজাদা সৈয়দ এহসানুল করিম।