অগ্রসর রিপোর্ট: নববর্ষের ঘন্টা বাজার মুহূর্তে তেল আবিব ও ইসরালের দক্ষিণাঞ্চলকে লক্ষ্য করে সোমবার গাজা উপত্যকা থেকে বেশ ক’টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। দায়িত্বরত এএফপি সাংবাদিকরা এ কথা জানান।
তেল আবিবে সাংবাদিকরা বিমান হামলার সাইরেন বাজার শব্দ শুনতে পায় ও ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রকেটগুলোকে আটকাতে দেখে। খবর এএফপি’র।
এ সময় নববর্ষ উদযাপনের জন্য রাস্তায় জড়ো হওয়া লোকেদের অনেকে পালিয়ে আশ্রয় নিরাপদস্থানে আশ্রয় নেয়। আবার কেউ কেউ পার্টি উপভোগে মগ্ন থাকে।
এএফপি সাংবাদিকদের মতে, ইসরায়েলের দক্ষিণের হামলাটি মধ্যরাতে হয় এবং তেল আবিবকে লক্ষ্য করে আরো হামলা হয়।
তেল আবিবের বাইরে একটি বারে বন্ধুদের সাথে নববর্ষ উদযাপন করতে আসা জিব্রায়েল জেমেলম্যান বলেন, ‘প্রথমবার ক্ষেপণাস্ত্র দেখতে পেয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, কারণ এটি ভয়ঙ্কর।’
ইজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড নামক হামাসের সামরিক শাখা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে উভয় হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, ইসরায়েলী হামলায় বেসামরিক গণহত্যার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ তারা এই হামলা চালিয়েছে এবং এসব হামলায় তারা এম-৯০ রকেট ব্যবহার করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সামরিক বাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছে, হামাস ‘ইসরায়েলে রকেট ব্যারেজ চালু করে ২০২৪ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় সর্বশেষ রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ২১,৮২২ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের এক আকস্মিক হামলার মাধ্যমে যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েল সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে এএফপি গণনা অনুসারে হামাসের ওই হামলার ফলে প্রায় ১,১৪০ জন নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।