অগ্রসর রিপোর্ট: শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহারের পরদিন সাময়িক বরখাস্ত হলেন বিসিএস পুলিশ ক্যাডার ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সোমবার বিকালে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়েছে। অবশ্য এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও এডিসি হারুন বরখাস্ত হচ্ছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেহেতু ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম হতে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন; সেহেতু হারুন-অর-রশীদকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক অদ্য ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
গত শনিবার রাতে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় ধরে এনে নির্যাতন করেন এডিসি হারুন। এতে নাঈমের পাঁচ দাঁত উপড়ে যায়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ বেলা সাড়ে বারোটার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রায় আড়াইঘন্টা এ বৈঠক চলে। শেষে বেরিয়ে দলটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ডিএমপির তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রাখছি। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রক্তক্ষরণ হয়েছে।
পরে বিকালে ডিএমপির যুগ্মকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির দায় পুলিশ নেয় না। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর কাকে কতটুকু দায়ী করবে তার ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ চাকরিচ্যুত হতে পারে কেউবা তিরস্কারও হতে পারে।’