অগ্রসর রিপোর্ট : ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন ১৫ জন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) ইউক্রেন সীমান্তঘেঁষা বেলগরদ অঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিমে এ ঘটনা ঘটে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে দুই বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, ঐ সামরিক স্থানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা স্বেচ্ছাসেবী সেনাদের অনুশীলনের সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে দুইজন আততায়ী। তবে পাল্টা ছোড়া গুলিতে দুই আততায়ী নিহত হন। আততায়ীদের জাতীয়তা শনাক্ত করা যায়নি। তবে তারা সাবেক সোভেয়ত ইউনিয়নের যেকোনো একটি দেশের নাগরিক।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের শক্তিশালী করতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দ্রুত সেনা সমাবেশের নির্দেশের পর এ হামলাটি ঘটলো। ক্রিমিয়ার সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটার পরই পুতিন দ্রুত সেনা সমাবেশের নির্দেশ দেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে বিশেষ অভিযানে অংশ নিতে স্বেচ্ছায় আসা লোকদের ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র চালানোর কৌশল শেখানো হচ্ছিল। তখনই প্রশিক্ষণ ইউনিটে সন্ত্রাসীরা দুটি ছোট অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেকসি আরেসটভিচ এক ইউটিউব সাক্ষাকারে বলেন, এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের নাগরিকরা রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে। ধর্মীয় বিতর্কের জন্য এ হামলা হয়েছে।