অগ্রসর রিপোর্ট : হিজাব ইস্যুতে করা মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় নিয়ে ঐকমত্যে আসতে পারল না ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ এ মামলায় ‘বিভক্ত রায়’ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবারের (১৩ অক্টোবর) এই বিভক্ত রায়ের ফলে এবার উচ্চতর বেঞ্চে গেল হিজাব মামলা।
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত আবেদন খারিজ করার পক্ষে রায় দেন এবং হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। আর বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়া আবেদন অনুযায়ী হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দেন।
এর আগে শুনানি চলাকালে ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্ণাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা দাবি করেন, কুরআনে উল্লেখ থাকলেই কোনো প্রথা মানা জরুরি হয় না। শুধু যে প্রথাগুলো নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে সেগুলো জরুরি বলে বিবেচনা করা হয়।
তিনি দাবি করেন, সংবিধানের ভিত্তিতে আদালতের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এদিকে মামলার শুনানি চলাকালে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছিল শীর্ষ আদালত। বলা হয়েছিল, ক্লাসে হিজাব পরার অনুমতি দেয়া হলে তা দেশের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরার একটি সুযোগ এবং এতে শিশুরা ছোট বয়স থেকেই দেশের বৈচিত্র্য সম্পর্কে অবগত থাকবে।
প্রসঙ্গত, হিজাব বিতর্ক নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা। কর্ণাটক হাইকোর্ট এর আগে রায় দেয়, হিজাব মুসলিম নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। সেক্ষেত্রে স্কুল বা কলেজের ইউনিফর্ম মেনেই শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে হবে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়।