অগ্রসর রিপোর্ট :পরীমণির সঙ্গে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সাকলায়েনের ‘অনৈতিক’ সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ইতোমধ্যে পরীমণিসহ মডেল মৌ, পিয়াসা ও রাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার ও মামলার ডকেট বুঝে পেয়েছে সিআইডি।
এদিকে পরীমণিসহ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
শনিবার দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
পরীমণি এখন আসামি তবে এর আগে অন্য একটা মামলায় তিনি বাদী ছিলেন। ঘটনাক্রমে একজন মামলার বাদীর সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার প্রণয় ঘটেছে, এ বিষয়গুলো আপনাদের তদন্তে উঠে আসবে কিনা? জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, অবশ্যই উঠে আসবে। আমরা তো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করব সে কারণে মামলা সংক্রান্ত এবং আসামি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যম ও গণমাধ্যমে যা প্রকাশ পাবে সে বিষয়গুলো তদন্তে আসামি ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সেটা যদি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও হয় তাও কি আমলে নেওয়া হবে? অবশ্যই। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যেই হোক না কেন। আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করতে।
তিনি বলেন, ৬ আগস্ট আমরা মামলার ডকেট এবং আসামিদের বুঝে পেয়েছি। আসামিদের মধ্যে পরীমণি, মডেল মৌ, পিয়াসা, নজরুল ইসলাম রাজ বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে।
তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান বর্তমানে আমাদের হেফাজতে নেই তারা অন্য মামলার তদন্তে ডিএমপির কাছে রয়েছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, গতকালই আমরা আসামি ও মামলা ডকেট বুঝে পেয়েছি। সবেমাত্র তদন্ত শুরু হয়েছে। সুতরাং এই মুহূর্তে সব বলা মুশকিল।
কারণ সিআইডিতে যেকোনও তদন্তই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করা হয়।
আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, কেমিক্যাল ল্যাব, ডিএনএ ল্যাব ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এর জন্য তদন্ত কার্যক্রমে আমাদের সময় লাগবে। ইতোমধ্যে সিআইডির হেফাজতে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
পরীমণির বিরুদ্ধে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে, মাদক কারবার, পার্টি ব্ল্যাকমেলিং এই বিষয়গুলো কিভাবে আপনারা প্রমাণ করবেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আমরা সময় সময় আপনাদের জানাবো।
পরীমণির এমন অপকর্মে প্রভাবশালীরা অনেকেই জড়িত রয়েছেন তাদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবেন? জানতে চাইলে শেখ ওমর ফারুক বলেন, অবশ্যই, যদি প্রভাবশালী কেউ জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।