অগ্রসর রিপোর্ট :পাঁচবারের দেখায় প্রথম জয়। ঘরের মাঠে টাইগারদের আমন্ত্রণে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে এসে সাকিব-নাসুমদের স্পিনে পুড়লো অজিরা। মার্শ-ওয়েডদের বিপক্ষে ২৩ রানে জিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নিলো বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। তবে খুব ভালো শুরু পায়নি বাংলাদেশ। শুরু থেকেই অজি পেসার স্টার্ক-হ্যাজলউডের তোপের মুখে পরে টাইগাররা। কার্যকরী ছিলো অ্যাডাম জাম্পা-অ্যাশটন অ্যাগারের স্পিনও।
স্টার্ক-হ্যাজলউডের গতির সাথে ইয়র্কার, সুইংয়ে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলো স্বাগতিকরা। ম্যাচের প্রথম ওভারে স্টার্কের দ্বিতীয় বলেই ফ্লিক করে উড়িয়ে মেরেছিলেন মোহাম্মদ নাইম। নাইমের সেই ছয়ের মারের পরে চেপে ধরেছিলেন জশ হ্যাজলউড। নিজের করা প্রথম ওভারে ৩ রান দেওয়ার পরে দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকারকে (৯ বলে ২ রান)।
পরে ভয়ডরহীন শটে শুরু করা নাইম শেখ আশা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। অ্যাডাম জাম্পার বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ২ ছয়ে আর ১ বাউন্ডারিতে গুরুপ্তপূর্ণ ২৯ বলে ৩০ রান করেন নাইম। পরে দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরেন টাইগার অধিনায়কও। দুর্দান্ত ক্যাচ বনে যাওয়ার আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে ২০ রান করেন। ইনিংসে ছয়ের মার ছিলো একটা।
পরে বেশি সময় থাকতে পারেননি নুরুল হাসান সোহানও। ৪ বলে মাত্র ৩ রান করে ফিরেন এই উইকেট কিপার ব্যাটার। শেষে ৩৩ বলে ৩৬ রান করা সাকিবকে বোল্ড করে ফিরান জশ হ্যাজলউড। পরে স্টার্কের ইয়র্কার ঠেকাতে পারেননি তরুণ শামীম হোসেন। ফিরেছেন ৩ বলে ৪ রান করে। শেষের দিকে আফিফ হোসেনের ১৭ বলে ২৩ আর মাহেদি হাসানের ৬ বলে ৭ রানে মাঝারি সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রানের ছোট পূঁজিতেই দারুণ লড়েছে টাইগাররা। স্পিন দিয়ে শুরু করা ইনিংসে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মাহেদি-নাসুম-সাকিব। তিন ওভারেই তিন উইকেট তুলে নিয়ে বেশ চাপে ফেলে সফরকারীদের। সেখান থেকে মিচেল মার্শকে নিয়ে দারুণ এক জুঁটি গড়ে চাপ কাটাতে চাইছিলো অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। পরে তাকে ভুল শট খেলতে বাধ্য করে উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ।
শেষের পুরো জাদুটা শুধু নাসুম আহমেদ দেখাতে পারলো না। তাতে ভাগ বসান মুস্তাফিজুর ও শরিফুল ইসলাম। তবে অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে হিট উইকেট বানিয়ে তুলে নেন নিজের তৃতীয় উইকেট। পরে বাংলাদেশের জয়ের পথে অন্যতম বাধা হয়ে থাকা মিচেল মার্শকে ফেরান নাসুম। শরিফুল ইসলামকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৫ বলে ৪৫ রান করেন মার্শ।
অজিদের জন্য আশা জাগিয়ে থাকা অ্যাশটন টার্নার আর মিচেল স্টার্ককে ফেরান টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। অজিদের ইনিংসে শেষ পেরেক ঠুকে দেন একাদশে থাকা আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম।
ম্যাচে দুর্দান্ত বল করে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন অজিদের ৪ ব্যাটসম্যানকে।
আগামীকাল বুধবার একই সময় ও ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির মুখোমুখি হবে টাইগাররা। সফরের পরের ম্যাচ একদিন বিরতির পরে ৬, ৭ আগস্ট খেলবে তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ এবং সফরের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ আগস্ট।