অগ্রসর রিপোর্টঃ দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে রাত পোহালেই, সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভোট নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১২টায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে। শেষ দিনে বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ক্যাম্পাসজুড়ে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।
এবারের নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রফ্রন্ট সমর্থিত সংশপ্তক, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলসহ বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষ মুহূর্তেও বেশিরভাগ প্রার্থী সক্রিয়ভাবে প্রচারণায় যুক্ত ছিলেন।
জাকসুর ভোটের পাশাপাশি একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হল সংসদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯১৯ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ জন প্রার্থী।
প্রচারের শেষ দিনে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট নিয়ে ক্যাম্পাসে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের প্রার্থীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রার্থীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ১০ দিন পর এবং ভোটের মাত্র দু’দিন আগে এই উদ্যোগ নেওয়া নির্বাচন কমিশনের অদূরদর্শিতা প্রমাণ করে।
অন্যদিকে, সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তিনি ভোট দেওয়ার অনুমতি পেলেও মঙ্গলবার বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এটি আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং অমর্ত্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও তাপস বন্ধু দাস।