অগ্রসর রিপোর্ট :আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর আগে আগামীকাল বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রথম একজন নার্সের শরীরে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে দেশে টিকা দেয়ার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
মঙ্গলবার বিকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন শুরু হবে। অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি কেন্দ্রে গিয়েও সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নেয়া যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো অপ্রপ্রচার দেখছি না। তবে ভ্যাকসিন আমাদের জন্য কোনো রাজনীতি নয়, মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই এই ভ্যাকসিন নিয়ে আসা। ভ্যাকসিন নিয়ে যারা বিরূপ প্রচার চালায় তারা কোনোভাবেই দেশের মঙ্গল চায় না।’ এ সময় ভ্যাকসিনের বিষয়ে কাউকে বিভ্রান্তিতে না পড়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সুরক্ষা অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়েছিল, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে সাত হাজার ৩৪৪টি হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনা টিকা দেয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, এর একদিন আগেই দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকার ৭০ লাখ ডোজ ইতিমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২০ লাখ ডোজ বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে ভারত। আর ৫০ লাখ ডোজ কেনা হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। বেক্সিমকোর মধ্যস্থতায় সেই টিকা কিনছে সরকার।
আগামীকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রথম একজন নার্সের শরীরে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে দেশে ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
সারাদেশে ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর আগে কাজটি সুচারুভাবে করতে আজ ‘ড্রাই রান’ বা মহড়া অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরিচালক ব্রি. জে জামিল আহমেদ বলেন, আগামীকাল বুধবার ভ্যাকসিন প্রয়োগ কাজের উদ্বোধনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করেছি।