অগ্রসর রিপোর্ট : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি রাজনীতিকে নষ্ট করেছে। রাজনীতিতে কালো টাকা এবং ‘মাসলম্যান’ (পেশীশক্তি) আমদানি করেছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়ন-ডিআরইউতে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও স্বাধীনতা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন, আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। তার জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তী, তার জীবনগাথা একটি সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান, পৃথিবীর সামনে তিনি এক অনুকরণীয় নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত।
বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, জিয়াউর রহমান দম্ভ করেই বলতেন যে, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’। বিএনপিই রাজনীতিতে কেনা-বেচার হাট বসিয়েছিল। বিএনপির বড় বড় নেতা যারা আজকে বড় বড় কথা বলে তারা অনেকেই রাজনীতির হাটে বিক্রি হওয়া রাজনীতিবিদ। তারা যখন সময় নিয়ে প্রশ্ন রাখে,
তখন মনে করতে হবে সময়টা ভালো যাচ্ছে।
খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু খুন নয়, বঙ্গবন্ধুহত্যার পর যাতে হত্যার বিচার না হয়, সেজন্য তারা সংসদে আইন পাস করেছিল। বিএনপি’র আমলে ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনায় প্রায় শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই সমস্ত হত্যাকান্ডের কোনো বিচার না হওয়ার জন্য তারা আবার ইমডেমনেটি দিয়ে হত্যাকাণ্ডকে আইনগত বৈধতা দিয়েছে। যারা এই ধরণের কাজ করে তারা যখন এ নিয়ে কথা বলে, তখন এটি হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিএনপি নারী ধর্ষণকারীরও দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে অন্তসত্ত্বা মহিলাসহ শতশত নারীকে ধর্ষণ-নির্যাতন করা হয়েছিল। সুতরাং বিএনপি শুধু খুনীর দল নয়, তারা ধর্ষণকারীরও দল। কারণ এই নারী ধর্ষণের কোনো বিচার তারা করেনি বরং দলগতভাবে তাদেরকে বাহবা দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ অপরাধীদের বিষয়ে শূণ্যসহিষ্ণুতার নীতিতে অটল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরণের অপকর্মের সাথে যারা যুক্ত, তারা কোনো দলের নয়, তারা দুষ্কৃতিকারী। এদের কেউ দলীয় পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলে, সরকার এবং আমাদের দল এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। যারাই এই অপকর্মের সাথে যুক্ত থাকবে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।