অগ্রসর রিপোর্ট : ঢাকার ধামরাইয়ে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে মমতা আক্তার (১৮) নামে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
এ অভিযোগে সোহেল (৩০) নামে এক বাস চালককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে অভিযুক্ত বাসচালককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে এক জঙ্গলের মধ্যে থেকে ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক সোহেল ফরিদপুর জেলার আমানত খানের ছেলে। সে ধামরাই উপজেলার জেঠাইল গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাসচালকের কাজ করতো।
মমতা আক্তার উপজেলার কুশুরা ইউনিয়ণের কাঠালিয়া গ্রামের শাজাহান মিন্টুর মেয়ে। তিনি ডাউটিয়া এলাকায় প্রতীক সিরামিক্স কারখানায় কাজ করতেন।
জানা যায়, প্রতিদিন ওই কারখানায় সকাল ৬টায় কাজে যোগ দিতে হতো মমতাকে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মমতার মা জুলেখা বেগম মমতাকে কারখানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে এক বাসে উঠিয়ে দেন। কিন্তু সন্ধ্যা পরও তিনি বাড়ি ফিরে না আসলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ধামরাই থানায় এক সাধারণ ডায়েরি করেন তার পরিবার।
পরে রাতে ঘটনাস্থলে মমতার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
ধামরাই থানাধীন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) রাসেল মোল্লা জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মমতার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। এছাড়া নিহতের পড়নের কামিজ ছেড়া অবস্থায় পাওয়া যায়।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, থানায় জিডি হওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাতেই আমরা হত্যাকারীসহ বাস আটক করা হয়। আটক বাসচালকের মুখে হাতে ও গলায় মেয়ের নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত ও মেডিক্যাল রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।