অগ্রসর রিপোর্ট : ফিলিপাইনে বড়দিনে আঘাত হানা টাইফুন ফানফোনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ এ পৌঁছেছে। মৃতের এ সংখ্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। দেশটির কর্তৃপক্ষ শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে প্রত্যন্ত গ্রাম ও বিখ্যাত পর্যটন এলাকার ওপর দিয়ে বুধবার ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
কর্তৃপক্ষ শুক্রবার ২৮ জনের প্রাণহানির কথা নিশ্চিত করে জানায়। বৃহস্পতিবার ১৬ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। পরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমূহের বিস্তারিত খবর পাওয়ার পর নতুন সংখ্যা নিরূপন করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকার ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন ছিল।
জাতীয় দুর্যোগ এজেন্সির মুখপাত্র মার্ক টিম্বাল এএফপিকে বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে আমরা আশা করছি এ সংখ্যা অরিবর্তিত থাকবে।’
তিনি বলেন, অন্তত ১২ ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ তালিকায় রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে এক পরিবারের বেশ কজন সদস্য ডুবে গেছে। এক পুলিশ সদস্য টহল দেয়ার সময় তার ওপর খুঁটি উল্টে পরে বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয় এবং অপর এক ব্যক্তি উপড়ে পরা নারিকেল গাছের নিচে চাপা পরে মৃত্যুবরণ করেছে।
ফিলিপাইনের বেশির ভাগই ক্যাথলিক। ফানফোন বিপূল সংখ্যক মানুষের বড়দিনের উৎসব প- করে দেয়।
টাইফুন উপকূল ও নি¤œাঞ্চলের বহুসংখ্যক লোককে ঘর ছাড়া করে। তারা বাধ্য হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে বড়দিনের উৎসব উদযাপন করে।
বিমান ও ফেরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেকে পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে ব্যর্থ হয়।
টাইফুন বোরাকা দ্বীপেও আঘাত হানে। বিখ্যাত এ দ্বীপে বছরে এক মিলিয়নের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে থাকে।
বোরাকায় নারিকেল গাছসমূহ উপড়ে পরে, ঘরের জানালা বাতাসে উড়ে যায়, বুধ ও বৃহস্পতিবারে দ্বীপের সকল ফেরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তবে বোরাকায় কোনো প্রকার প্রাণহানী ঘটেনি, এবং ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলের অন্যান্য এলাকার চেয়ে তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত ফিলিপাইন বছরে প্রায় ২০ বার দুর্যোগের কবলে পড়ে।
ফানফোনের স্থানীয় নাম ‘উরসালা’। ২০১৯ সালে ফিলিপাইনে এটি ২১তম দুর্যোগ।
ফানফোন, সুপার টাইফুন হায়ান অপেক্ষা বেশ দুর্বল। ২০১৩ সালে টাইফুন হায়ান ৭,৩০০ লোকের প্রাণহানী ঘটিয়েছিল।