অগ্রসর রিপোর্ট :আওয়ামী সরকারের সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান ও তার স্ত্রী হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের পৃথক দুই মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ আদেশ দেন। আগামী ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন আসামিদের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। দুদকের পক্ষে মীর আহমেদ আলী সালাম চার্জগঠনের প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন আদালত।
২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মান্নান খানের বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ৪ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলা দায়েরের তিন দিনের মাথায় ২৪ আগস্ট মান্নান খান ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা তার স্ত্রী বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একই বছরের ২১ অক্টোবর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর ২৩ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন হাসিনা সুলতানা।
২০১৫ সালের ১১ আগস্ট মামলাটি তদন্ত করে মান্নান খানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে মান্নান খানের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যায়।তাতে দেখা যায়, তার আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার টাকা এবং তিনি সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার।
২০১৫ সালের ৯ জুন তদন্ত শেষে হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।