ক্রিকেট ক্রিকেট করে আমার এক জীবন গেলো । বরিশাল বুলস কর্তৃপক্ষের উৎসাহ এবং ভালবাসায় প্রায় আট বছর পর মাঠে গিয়েছি,অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। দর্শক, উত্তেজনা, মাঠের পরিবেশ সব মিলিয়ে অদ্ভূত মূর্ছনা । শুধু বিপথগামী ডিজে গুলোর হিন্দী গানের যন্ত্রনাটা একটু পীড়া দিয়েছে, মেরুদন্ড না থাকলে যা হয় আর কি।
সব নির্মল অনুভূতি গুলোতে পানি ঢেলে দিয়েছে সন্দেহ। ১৭,১৮,১৯ এবং ২০ নম্বর ওভার গুলোতে ব্যাটসম্যানরা হয়ে যায় প্রতিবন্ধী আর বোলাররা হয়ে যায় বাঘ। T-20 ক্রিকেট জুয়ার অপর নাম । দর্শক হিসেবে মাঠে যাই খেলা দেখতে আর আমাদের নিয়ে খেলা হয় টেবিলে ।সন্দেহ ঢুকেছে প্রেসবক্সেও ।
অন্য কোন দলের কথা বলবো না । আমার দল বরিশাল বুলসের বিদেশী এবং দেশী খেলোয়াড়দের একটা অংশ ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত আমি নিশ্চিত, প্রমান নেই । তবে বিসিবি এবং আকসু যদি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয় তাহলে অবশ্যই তারা প্রমান খুঁজে পাবেন আমার বিশ্বাস। গরীব দল বুলস ,ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের জন্য খারাপ লাগছে। তবে আমি কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি। আত্মঘাতি গোলে হেরে যাওয়ার জন্য বরিশাল বুলসের জন্য সমবেদনা । ছিলাম আছি থাকবো ক্রিকেটের সঙ্গে। জয় হোক বাংলাদেশ ক্রিকেটের । অনেক হয়েছে, এবার একটু রেকর্ডিং এ মনযোগ দেই … ভালবাসা অবিরাম …………