ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪নং গদখালী ইউনিয়নের গদখালী মেঠোপাড়া গ্রামের মধ্যে অবস্থিত ব্র্যাক এনজিও সংস্থার ব্র্যাকের স্কুল রয়েছে। সেই স্কুলের দায়-দায়িত্ব বর্তমাতে বাঁচতে শেখা এনজিও সংস্থার আওতায়। এলাকার মধ্যে ইমদাদুলের স্ত্রী রাহেলা বেগম সে এই স্কুলের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষিকা।
এলাকার মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর কোন রাজনৈতিক দলের পদ বা ক্ষমতা না থাকলেও যখন যে দলের ক্ষমতা থাকে, তখন সেই দলের সাথে মিশে গিয়ে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতাধর হয়ে নিজেকে ‘সুপার পাওয়ার ফুল’ মনে করে এলাকায় নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকেন।
যে বয়সে ছেলে মেয়েদের মুক্ত মনে মাঠে গিয়ে খেলা করার সময়, ঠিক সেই সময় পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের চাপে পড়ে স্কুলে যেতে হয়। সেই সময়ে যদি শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পাঁচ মিনিট সময় বেশি লাগে, তাহলে শিক্ষিকা রাহেলা তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। কোমল মতি শিশুদের প্রতি নিতদিন যেমন ভাবে নির্যাতন শুরু করেছে! এতে করে ভঁয়ে শিশুরা স্কুলে যেতে আতঙ্কিত। অন্যত্র স্কুলে পাড়ি জামাচ্ছে এবং শিশুরা ভঁয়তে পড়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে ঘটনা সর্ম্পকে উক্ত এলাকায় অনুন্ধান করতে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। এলাকার সাধারণ অভিভাবকরা শিক্ষিকা রাহেলা প্রতি অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, যেখানে বর্তমান সরকারের ঘোষনা রয়েছে, কোন কোমল মতি শিক্ষার্থীদের লাঠি দিয়ে আঘাত করা যাবে না। সেখানে শিক্ষিকা রাহেলা বেগম ক্ষমতা দেখিয়ে ২২ বছর ধরে ক্ষমতাধর ভাবে শিক্ষার্থীদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই স্কুলে পড়া অবস্থায় এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে সুরাইয়া ও তুতা মিয়ার মেয়ে সম্পা এই দু’জনের উপরে শিক্ষিকা রাহেলার নির্যাতনের ফলে তারা কানে শুনতে পায়না। আঃ ছাত্তারের ছেলে তৌহিদের প্রতি নির্যাতনের ফলে তার ডান হাতের একটি অঙ্গুল প্রায় অকার্যকর, ইমদাদুল হক মিলনের মেয়ে মমতার উপর এমন ভাবে নির্যাতন করেছে যে কাউকে স্থান দেখানোর মত নয় তার ডান কুকচিতে লাঠি দ্বারা আঘাত করেছে এবং ইউনুছের ছেলে সাকিব হোসেনের লাঠি দিয়ে দু’হাতে ও পিছনে এমন ভাবে আঘাত করেছে যে তার শরীরে কালশিরা পড়ে আছে।
ঘটনা বিষয়ে এলাকায় অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে শিক্ষিকা রাহেলা বেগমের নিকট জানতে চাইলে সে ঘটনা সর্ম্পকে স্বীকার করেন এবং সংবাদকর্মীর মুখ বন্ধের জন্য বিভিন্ন প্রকার তদবীর শুরু করেন। এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে এলাকার সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং শিক্ষিকা রাহেলা বেগমের প্রতি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।