বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনে শনিবার দিনভর লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে চলবে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান এরই মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
দুই দিন ধরে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রয়েছেন মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের উপর আমবয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের ৬ উসুলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর বাদ ফজর ভারতের হযরত মাওলানা জমশেদ আলীর বয়ানের মধ্য দিয়ে শনিবার দ্বিতীয় দিনের বয়ান শুরু হয়।
বাদ জোহর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মোরসালিন (ভারত), বাদ আসর হযরত মাওলানা মো. ইউসুফ আলী (ভারত) এবং বাদ মাগরিব ভারতের হযরত মোহাম্মদ সা’দ বয়ান করবেন।
এদিকে ইজতেমা প্যান্ডেলের উত্তর-পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি খিত্তায় তাশকিলের জন্য বিশেষ স্থান রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে আল্লাহর রাস্তায় বের হতে ইচ্ছুকরা নাম তালিকাভুক্ত করে সেখানে অবস্থান করছেন। কাকরাইলের মসজিদের মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় দ্বীনের মেহনতে পাঠানো হবে।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনই জর্ডান, লিবিয়া, আফ্রিকা, লেবানন, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরাক, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৯০ দেশ থেকে ৫ সহস্রাধিক মুসল্লি আসেন। আগের পর্বে অংশ নেয়া অনেকেই ছিলেন আগে থেকেই। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ময়দানে ৩ তাঁবুতে রয়েছেন মেহমানরা।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রতিটি খিত্তায় (মুসল্লিদের জেলাওয়ারি অবস্থানস্থল) সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। এ ছাড়া রাস্তাঘাট, ব্যস্ততম স্থানসহ পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন।