প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। একই সময়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও পাসের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়ভাবে মেয়েদের সংখ্যা বেড়েছে। এ কারণে মেয়েদের অভিনন্দন জানাই। তবে ছেলেরা কেন পিছিয়ে পড়ছে, সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। কারণ জেন্ডার সমতা আনতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে জেন্ডার সমতা তো উল্টো হয়ে যাচ্ছে। এখানে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মেয়েরাই বেশি আবার পাসের ক্ষেত্রেও মেয়েরা এগিয়ে।
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে বেছে বেছে কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে আলাদাভাবে পড়ানো হতো। কিছু বেছে নিয়ে পড়ানোর চেয়ে সব ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দেবে- এটা ভালো। এতে করে সবাই সুযোগ পাবে। কারণ যাদের বাদ দেওয়া হয় তাদের মধ্যেও কেউ ভালো থাকতে পারে।
পিইসি পরীক্ষায় অভিভাবকদের অনীহার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বোর্ডে পরীক্ষা দিতে গেলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ভয় পায়, নার্ভাস হয়ে যায়। বোর্ডের পরীক্ষা দেয়ার যে ভীতি সেটা এখানে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া ছোট ছোট বাচ্চা সার্টিফিকেট পেলে মনে করে তাকে একটা স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। এতে করে তাদের আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। এতে করে তাদের ভিত্তি গড়ে উঠছে অত্যন্ত শক্তিশালী মজবুত হয়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি দরকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। একমাত্র শিক্ষিত জাতিই পারে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শান্তি চাই, সুন্দর জীবন চাই। উন্নত জীবন চাই। এ জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদের কোনো স্থান বাংলাদেশে হবে না। আমরা শান্তি চাই, শান্তি ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। আর জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের পথ। এ বিষয়টা খুব ভালোভাবে সবাইকে বোঝাতে হবে। শিশুদের বোঝাতে হবে এ ধরনের ভুল পথে যেন কেউ না যায়।