অগ্রসর রিপোর্ট : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্বের ভূমি, লেক ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হবে।
ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৯০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজও শেষ হবে ২০১৮ সালের মধ্যে। এখানে উন্নয়ন কাজের প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্প, উত্তরা তৃতীয় পর্ব এবং পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান।
বৃহস্পতিবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ কথা বলা হয়।
এতে জানানো হয়, মন্ত্রী বলেন, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাটের মধ্যে অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গেছে। বিক্রির জন্য অল্প কিছু ফ্ল্যাট অবশিষ্ট রয়েছে। আগামী মাসে ৮৪০টি ফ্ল্যাট ক্রেতাদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, সদস্য (উন্নয়ন) আব্দুর রহমানসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, পূর্বাচল হবে দেশের প্রথম স্মার্ট সিটি। এখানে আবাসিক প্লট ছাড়াও ২৫০ একর জমিতে সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। এরমধ্যে ৫০ একর জমিতে একটি আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। যদি দু’টি টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব হয় তবে জমির পরিমাণ বাড়ানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে একটি টাওয়ার হবে ‘আমাদের স্বাধীনতার স্মারক হিসেবে ৭১ তলা বিশিষ্ট’। এ জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। এখানে পর্যাপ্ত খোলা স্থান রাখা হয়েছে যা সবুজায়ন করা হবে। এছাড়াও ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লেক রয়েছে পূর্বাচলে। এ শহরের বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোনসহ অন্যান্য সেবাধর্মী সংযোগ মাটির নিচে রাখা হচ্ছে। বর্জ্য ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সবই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের আবাসন সমস্যার সমাধানে রাজউকের আবাসিক এলাকায় এপার্টমেন্ট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। উত্তরা, পূর্বাচল ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় মোট প্রায় এক লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, উত্তরার ১৮নম্বর সেক্টরে রাজউকের নিজস্ব অর্থে ১৭৯টি ভবনে মোট ১৫ হাজার ৩৬টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৭৯টি ভবনে ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্লাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাট অত্যন্ত কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বর্গফুটের মূল্য পুননির্ধারণ করে ৪৫০০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়াও ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ প্রদান করছে। সাড়ে আট শতাংশ সুদে এ ঋণ ২৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে। এখানে ৪৫ শতাংশ জায়গা সবুজ বেস্টনি, স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ, শপিংমল ইত্যাদি রাখা হচ্ছে। এছাড়াও বেসমেন্ট ও নিচতলায় গড়ি পার্কিং ও দৃষ্টিনন্দন লেক থাকবে এ প্রকল্প এলাকায়। এখানে অবশিষ্ট ১০০টি ভবন নির্মাণ করবে মালয়েশিয়া সরকার।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।