অগ্রসর রিপোর্টঃ প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের শস্য সংগ্রহ পরবর্তী সহযোগিতার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণসহ ৬ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এসব প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮১৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৮০২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা যোগান দেয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকশেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ফসল ঘরে আনার পরে কৃষকরা যাতে ন্যাষ্যমূল্যে তার উৎপাদিত শস্য বিক্রি করতে পারে, এজন্য এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে। অর্থের অভাবে কৃষকরা অল্প দামে আগেভাগেই ফসল বিক্রি করে থাকেন। এজন্য প্রকল্পের আওতায় শস্য কাটার আগে কৃষকদের ঋণ দেয়া হবে। ঋণের এই টাকা কৃষকরা তার সন্তানের লেখাপাড়ার খরচ ও কৃষি উপকরণের পেছনে ব্যয় করতে পারবেন।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঋণ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ঋণের পরিবর্তে বিদ্যুৎ প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে পাইলট আকারে প্রকল্পটি ৫ জেলায় বাস্তবায়ন হবে। পরবর্তীতে এটি সম্প্রসারণ করে অন্যান্য জেলার জন্য প্রকল্পটি নেয়া হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কৃষকরা উৎপাদিত শস্যের ন্যায্যমূল্য যেমন পাবেন, তেমনি সঞ্চয়ও করতে পারবেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
৭৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত। প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকরা প্রত্যেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ পাবেন।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো- ফরিদপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২৫ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় পতেঙ্গা, আনোয়ারা এবং পটিয়ায় পোল্ডার পুনর্বাসন প্রকল্প। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে ভোমরা স্থলবন্দর সংযোগসহ সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় হবে ১৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ফেনী জেলার সোনাগাজীতে ১০০ মেগাওয়াট সৌর ও ১০০ মেগাওয়াট বায়ুচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
ঢাকা নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।