অগ্রসর রিপোর্ট : গাজা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী কাতার মঙ্গলবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে। খুব শিগগির একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
দোহা থেকে এএফপি জানায়, কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে ইসরাইলে হামাসের হামলার সময় আটককৃত জিম্মি মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় মঙ্গলবার রাতে জানায়, চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে তিনি একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এর আগে বলেছেন, ‘বল এখন হামাসের কোর্টে, যদি হামাস রাজি হয়, তাহলে চুক্তিটি সম্পন্ন এবং বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।’
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির কার্যালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সিসি এক ফোনালাপে বলেছেন, সীমান্ত পেরিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য উভয় পক্ষকেই ‘নমনীয়তা’ দেখাতে হবে।
বাইডেন আগের দিন বলেন, তার উত্তরসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের ঠিক আগে একটি চুক্তি ‘চূড়ান্ত’ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি মঙ্গলবার বলেছেন, তাদের আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে। অবশ্যই আমরা আশাবাদী যে খুব শিগগির একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে। ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অতিরিক্ত উত্তেজিত হওয়া উচিত নয়।
ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার রোম সফরকালে বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ‘সত্যিকারের ইচ্ছা’ রয়েছে।
৭ অক্টোবরের হামাসের হামলা ইসরাইলের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক। ইসরাইলি সরকারি হিসাব অনুযায়ী এএফপির পরিসংখ্যান অনুসারে, ওই হামলার ফলে, ১,২১০ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে সেদিন হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করে, যাদের ৯৪ জন এখনও গাজায় আটক রয়েছেও ৩৪ জন নিহত হয়েছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক অভিযানে ৪৬,৬৪৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে।