অগ্রসর রিপোর্ট: গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। প্রায় ১০ দিনের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়েছে।
বিমান অভিযান পর্বের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে আইডিএফের স্থল বাহিনী। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছিল, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে।এমন পরিস্থিতিতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবানন থেকে এএফপির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, যে হামলাগুলো সবচেয়ে তীব্র ছিল, তার মধ্যে একটিতে টানা দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বোমাবর্ষণ চলেছে।
লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি শত্রু যুদ্ধবিমান থেকে (বৈরুতের) দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে চারটি খুবই নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে একটি হামলা হয়েছে চুয়েফাত এলাকায়। হামলার পর ওই এলাকায় কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেখা গেছে।’
এএফপির ভিডিও ফুটেজে যেসব এলাকায় হামলা হয়েছে, সেখান থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে।
বৈরুতের দক্ষিণে একটি এলাকা থেকে আগুনের বিশাল একটি বল আকাশের দিকে উঠে যেতে দেখা গেছে। প্রায় একঘণ্টা ধরে সেখান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বের হয়েছে।
এএফপির একজন প্রতিনিধি বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলির কাছের এলাকা সাবরাতে সড়কে বহু মানুষকে দেখেছেন। তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের কেউ মোটরসাইকেলে, কেউবা পায়ে হেঁটেই চলছেন। সঙ্গে কয়েকটি ব্যাগে অল্প কিছু জিনিস। তাঁদের পেছনে বিস্ফোরণের শব্দ।
এদিকে টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বৈরুতের (দক্ষিণাঞ্চলে) ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে এখন বিমান হামলা চালাচ্ছে’।
শনিবার রাতে হামলা শুরুর আগে ইসরায়েলি বাহিনী বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলি থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিল।