অগ্রসর রিপোর্ট: বন্যাকবলিত আট জেলায় ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০ পরিবারের প্রায় ২৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
তিনি জানান, গত ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা আটটি- ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ৫০ উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়ন ৩৫৭টি; আট জেলায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন। বন্যায় ফেনীতে একজন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনের মৃত্য হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা জানান, পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে আশ্রয় দিতে মোট ১ হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় মোট ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন ও ৭ হাজার ৪৫৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আট জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৪৪৪টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কে এম আলী রেজা আরও জানান, বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আট জেলায় ১ কোটি ৮২ লাখ নগদ টাকা, ১৩ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন চাল এবং ১১ হাজার প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে।