১ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রথম মামলার এজাহারে রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছিল। যার বিপরীতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক এমপি বাবলু স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদক মনে করছে।
সাবেক এমপি বাবলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ২ মামলা অনুমোদন
জামানত হারালেন ‘শূন্য থেকে কোটিপতি’এমপি বাবলু অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি মোছা. বিউটি খাতুন এক গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকার। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ লাখ টাকা। যা বাদ দিলে নিট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার নিট আয় পাওয়া যায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
গত ২০ মার্চ এ বিষয়ে পৃথক দুটি মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন।
রেজাউল করিম বাবলু একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বগুড়া-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।