অগ্রসর রিপোর্ট: রাজধানীর ধানমন্ডির ‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ বিউটি পার্লারের গোপন কক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকায় ব্যক্তির গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
মামলায় আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের মালিক তসলিমা চৌধুরী কনা আলম ও ফারনাস আলম। অপর কর্মকর্তারা হলেন- এমদাদুল হাসান, তসলিম আরিফ ইলিয়াস ও এইচ এম জুয়েল খন্দকার।
পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একজন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের শাখা থেকে আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে। পরে ওই ভুক্তভোগী মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের শাখায় ফেশিয়াল করতে যাওয়া এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিভিন্ন কক্ষে আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর পাওয়া যায়। অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে কনা আলম ও ফারনাস আলম নামের দুই মালিকই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
কার নির্দেশে স্পর্শকাতর কক্ষে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি ধানমন্ডি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিন কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন মালিক পক্ষের সিদ্ধান্তেই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা ক্যামেরার ডিভিআরে বিভিন্ন কক্ষের ফুটেজ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ক্যামেরার কোনো ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কি না সেটি জানতে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, মৌখিক অভিযোগকারী নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে থানা পুলিশের অভিযানে স্পর্শকাতর স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা ও সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।