অগ্রসর রিপোর্ট : ইনিংস ও ১১৭ রানে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে বাংলাদেশকে হারলো নিউজিল্যান্ড। এ পরাজয়ে টেস্ট সিরিজ ড্র হলো। এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইতে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জিতেছিল ৮ উইকেটে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের সবুজ পিচে বল হাতে ব্যর্থতার পর ব্যাট হাতে আরও ব্যর্থ বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৬ রান অলআউট হওয়া বাংলাদেশকে ফলোঅন করিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেখানেও ব্যর্থ টাইগাররা। ইনিংস ও ১১৭ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন টাইগাররা। এই হারের ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ এ ড্র হলো। ক্রাইস্টচার্চে লিটনের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৭৮ রানে। তৃতীয় দিনে ফলোঅন ফলোঅন করতে নেমে দলীয় ২৭ রানেই সাদমান ইসলামের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই ওপেনার ব্যাটার ২১ রান করে কাইল জেমিসনের বলে উইকেটরক্ষক টম ব্ল্যান্ডেলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর মোহাম্মদ নাঈম ও নাজমুল হোসেন শান্ত ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন। নাঈম ও শান্ত মিলে ৪৪ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন। নেইল ওয়াগনারের বলে ট্রেন্ট বোল্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। এরপর দলের সংগ্রহ ১০০ হওয়ার পর নাঈম (২৪) বিদায় নেন সেই ওয়াগনারের শিকার হয়েই। নাঈমের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু জুটিতে ৩৪ রানের বেশি আসেনি। এরপর মুমিনুলও (৩৭) ওয়াগনারের বলেই বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা রস টেইলরের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। এরপর ৫ রান যোগ হতেই ওয়াগনারের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তরুণ ব্যাটার ইয়াসির আলী (২)। ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন লিটন ও নুরুল। ধীরেসুস্থে শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়ান দুজনেই। এর মধ্যে লিটন আগ্রাসী ব্যাটিং করে তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি। মাত্র ৬৯ বলে ফিফটির দেখা পান তিনি। এই ডানহাতি ব্যাটার ফিফটি আগে জেমিসনের এক ওভারে ২ চার ও এক ছক্কা হাঁকান। ফিফটির পর ট্রেন্ট বোল্টের ওভারে ৪ চারে নেন ১৬ রান। নুরুল আশা জাগিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। কিউই মিডিয়াম পেসার ডেরিল মিচেলের বলে বাজে শট খেলে ওয়াগনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৩৬ রান। লিটন ও নুরুলের জুটিতে ১০১ রান আসে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। মিরাজ বিদায় নিলেও লিটন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ১০৫ বলে। তবে সেঞ্চুরির পর খুব বেশিদূর যেতে পারেননি লিটন। জেমিসনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ১৪টি চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রান করে। যদিও রিভিও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এরপর জেমিসনের বলে সাউদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শরিফুল ইসলাম (০)। বিদায়ী টেস্টে বল হাতে তুলে নেন টেইলর। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওভারেরতৃতীয় বলেই ইবাদত হোসেনের উইকেটও তুলে নেন তিনি। আর তাতেই গুঁটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। এর আগে ৬ উইকেটে ৫২১ রান সংগ্রহ করে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১২৬ রানেই অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।