অগ্রসর রিপোর্ট :ক্রমাগত গরমের পর এবার বিদায় নিতে শুরু করবে তাপপ্রবাহ। আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের টেকনাফ উপকূল ছুঁতে পারে। ফলে তাপমাত্রার বিদায় ঘটতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকেই মূলত বর্ষাকাল বলা হয়। আর এই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ৩ জুনের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে দেশের টেকনাফ উপকূল ছুঁতে পারে। এবং তা সারাদেশে ছড়িয়ে গেলে বর্ষাকালের বৃষ্টি শুরু হবে। জুনের মাঝামাঝি নাগাদ মৌসুমি বায়ু দেশে ছড়িয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাঙামাটি, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, রংপুর, খুলনা ও যশোর জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায়, ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাংশে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এই ২৪ ঘণ্টা পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে শনিবার আবহাওয়াবিদ কামরুল হাসান ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছিলেন, আগামী তিন দিন বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে। তবে তিন দিন পর থেকে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টির প্রবণতাও বাড়তে পারে। ফলে তাপমাত্রাও কমতে শুরু করবে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।