অগ্রসর রিপোর্ট :বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের টিকা আসার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আজ রাতে নয়, সোমবার (৩১ মে) রাতে বাংলাদেশে আসছে ফাইজারের এক লাখ ৬ হাজার ২০০ ডোজ টিকা।
রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ঠিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে আজ দুপুরে ফাইজারের টিকা আসা নিয়ে তথ্য বিভ্রাট হয়। দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এখনই দেশে আসছে না ফাইজারের টিকা। আগামী মাসের ২য় সপ্তাহে আসতে পারে। কয়েক ঘণ্টা পর ওই সময় ‘তথ্য বিভ্রাট’ হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আজ রাতেই ফাইজারের টিকা দেশে আসছে। এরপর বিকালে এ সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে সবশেষ অধিদপ্তর জানাল, রবিবার নয়, সোমবার রাতে দেশে আসছে ফাইজারের টিকা।
এটিই হবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দেশে আসা কোনো টিকার প্রথম চালান। তবে এ টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই টিকা ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিয়ে ইপিআইয়ের তত্ত্বাবধানে নিয়ে যাওয়া হবে মহাখালী সংরক্ষণাগারে। সেখানে আল্টা-লো ফ্রিজারে রাখা হবে মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।
তবে কেন্দ্রে নেওয়ার আগে আইএলআর রেফ্রিজারেটরে ৮ ঘণ্টা রেখে উপযোগী করা হবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার। আর এ অবস্থায় টিকা রাখা যাবে সর্বোচ্চ ১২০ ঘণ্টা বা ৫ দিন। কেন্দ্রে নেয়ার পর ডাইলুয়েন্ট মিশিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে মানবদেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ঠিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, আপাতত রাজধানীতেই ফাইজারের টিকা প্রয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এখনো নির্বাচন হয়নি কেন্দ্র। সবার দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে ৫০ হাজার মানুষকে দেয়া হবে এ টিকা।
বাংলাদেশে করোনার গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সেরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে চুক্তি করেছিল বেক্সিমকো ফার্মা। চুক্তি অনুযায়ী আগামী জুন পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা সরবরাহের কথা থাকলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহ করে সেরাম। ভারতের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে গত মার্চ থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সেরাম। সংকট কাটাতে এরই মধ্যে রাশিয়া ও চীনের টিকার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।