অগ্রসর রিপোর্ট : সিরাজগঞ্জে নবনির্বাচিত ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল ইসলামের মূল হত্যাকারী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি শুক্রবার সকালে সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া এলাকার পরিত্যক্ত একটি ডোবার পাশ থেকে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহিদুল সিরাজগঞ্জ শহরের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া এলাকার টিক্কা ব্যাপারীর ছেলে।
শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম। পুলিশ সুপার বলেন, কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর সিরাজগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল পুলিশ হেডকোয়ার্টার, ডিএমপি ও পিবিআই এর সহযোগিতায় যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূলহোতা জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া এলাকার তার নিজ বাড়ির পাশের একটি ডোবার পাড়ে পুঁতে রাখা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।
১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোট গণনায় ৮৪ ভোটে বিজয়ী হন তরিকুল ইসলাম। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরপরই পরাজিত প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থীদের ওপর হামলায় চালায়। এ সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল গুরুতর আহত হন। ওইদিন রাত ৮টার দিকে শহরের প্রাইম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন রাতে নিহতের ছেলে একরামুল হক হৃদয় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় পরাজিত প্রার্থী ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন বুদ্দিনকে। মামলায় মোট ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে আজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়।