অগ্রসর রিপোর্ট: গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে অবস্থানরত সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকালে টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয় এলাকাটি।
এ সময়, “খুনি হাসিনার বিচার চাই; গেস্ট রুম, গণরুম চলবে না; ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি, চলবে না; প্রভৃতি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে অংশ নিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আকতার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে কিন্তু তার মন থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় নেয়নি। এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে তিনি এখনো স্বরযন্ত্র করে যাচ্ছেন।ছাত্র-জনতা এই ফ্যাসিবাদী হাসিনা এবং আওয়ামীদের রুখে দিবে।দেশের বিভিন্ন জায়গায় এরা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করেছে। ছাত্ররা এদেরকে রুখে দিবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা এখানে বক্তব্য দিতে আসিনি, আমরা আপনাদের সতর্ক করতে এসেছি। আমরা ২০২৪ সালে বাংলাদেশটাকে নতুনভাবে স্বাধীন করেছি। এই স্বাধীনতার সূচনা হয়েছে মাত্র। ২ দিন পূর্বে (৯ আগস্ট) ষড়যন্ত্রকারীরা বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করেছিল, আমরা তা রুখে দিয়েছি।’
সমাপনী বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আজ এক উপদেষ্টাকে দেখেছি খুনিদেরকে পুনর্বাসন করার বক্তব্য দিতে।’
উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্রটি যেন মাথায় থাকে। যদি খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান, আমরা ছাত্র-জনতা আপনাদের যেভাবে উপদেষ্টা বানিয়েছি ঠিক একই ভাবে গদি থেকে তুলে ফেলা হবে। খুনিদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের বিষ দাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের শিক্ষার্থী ও জনমানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান। ফ্যাসিবাদের উৎখাত করতে গণমাধ্যমের অবদানের অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।