অগ্রসর রিপোর্ট :বাবার বন্ধুর লালসার শিকার এক কিশোরী স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুন) ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজলার মাখালডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কিশোরী সুমাইয়া খাতুন (১৩) মাখালডাঙ্গা গ্রামের দরিদ্র মুদি দোকানি সিদ্দিক আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় মাখালডাঙ্গা-দীননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়র ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
অভিযুক্ত ধর্ষণচষ্টাকারী লোকমান হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজলার হালসা নওদাপাড়ার জামাল হোসেনর ছেলে।
সে বাউলপন্থি এবং নিহত ওই স্কুলছাত্রীর বাবার বন্ধু। ঘটনার রাতে লোকমান হোসেন স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শ্লীলতাহানির শিকার ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের ধারণা।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবেশী ছায়রা বেগমের বাড়ির সামনে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে বাউল গানের আয়োজন করা হয়।
গান শুনতে কুষ্টিয়ার হালসা নওদাপাড়া থেকে লোকমান হোসেন চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিকের বাড়িতে আসে। লোকমানের সঙ্গে সিদ্দিকের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। রাতে ঘরের বারাদায় ঘুমিয়ে ছিলো সিদ্দিকের মেয়ে সুমাইয়া। তার বাবা-মা ছিল গানের আসরে।
মা-বাবা ঘরে না থাকার সুযোগে রাত ৩টার দিকে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা তার বাবার বন্ধু বন্ধু লোকমান। এসময় সে কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তাদের ধস্তাধস্তি চোখে পড়ে প্রতিবেশী আমির হোসেনের ছেলে মাছব্যবসায়ী আনারুলের।
আনারুল ছুটে গিয়ে লোকমাননের হাত থেকে ওই কিশোরীকে রক্ষা করে এবং গানের আসর থেকে সুমাইয়ার বাবা-মাকে ডাকতে যায়। সুমাইয়ার মা আম্বিয়া খাতুনসহ গ্রামের কয়েকজন ছুটে এসে গোয়ালঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমাইয়াকে পান।
তাকে দ্রুত উদ্ধার কর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭টার দিক মারা যায়।
গ্রামবাসীরা জানায়, রাতেই অভিযুক্ত লোকমান মাখালডাঙ্গা গ্রাম ছেড়ে পালিয় যায়। সুমাইয়া লজ্জা ও ঘৃণায় আত্মহত্যা করেছে। অভিযুক্ত লোকমানের উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।
কিশারী সুমাইয়ার মা আম্বিয়া খাতুন বলেন, আমরা লোকমানক খুবই বিশ্বাস করতাম। কিন্তু সে এমন ভয়ঙ্কর কাজ করল, আমরা তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবো।
ঘটনার পর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান। তিনি বলেন, শ্লীলতাহানির কারণেই সুমাইয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।