অগ্রসর রিপোর্ট : তরুণদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে ‘সাইবার নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সামাজিক কাজে নেতৃত্ব’ শীর্ষক দিনব্যাপী আয়োজিত এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এ আহবান জানান।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এ কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম পান্না, সাইবার নিরাপত্তা গবেষক মো. মেহেদী হাসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম, সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ হাসান। কর্মশালায় সার্বিক সহযোগিতা করেছে প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান প্রিনিউর ল্যাব। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে প্রায় ১০০ জন সাইবার সচেতনকর্মী অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন (১৮ লাখ) সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলীর প্রয়োজন হবে। তারা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশী তরুণদের এখনই সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। এই পেশায় উজ্জল ভবিষ্যত রয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সামাজিক কাজে নেতৃত্ব নিয়ে ড. এম পান্না বলেন, যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা যে কেউ সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স কোস্র্ করতে পারবেন। বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ জাতীয় কোর্স চালু আছে। বাংলাদেশেও শিগগির শুরু হবে।
কাজী মুস্তাফিজ বলেন, এখন থেকে প্রস্তুতি নিলে সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশের তরুণদের অনেক ভালো করার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রেনিউর ল্যাবের প্রতিনিধি কামরুন্নাহার, মো. শাহেদুজ্জামান ও রেজাউর রহমান সামাজিক ইতিবাচক কাজের চর্চায় তাদের কিছু অ্যাপস উপস্থাপন করেন।
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, তরুণদের হতাশা থেকে রক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সহায়তা বিষয়ক নানা বিষয়ে এসব অ্যাপস ব্যবহারের সুবিধা তুলে ধরা হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।